আমেরিকার অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলেই যাব : নও মুসলিম মার্জিয়া হাশেমী

জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমেরিকার অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলব। বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য করেছেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ইংরেজি ভাষার নিউজ চ্যানেল প্রেস টিভির খ্যাতিমান উপস্থাপিকা মার্জিয়া হাশেমি।

গত ১৩ জানুয়ারি আমেরিকার মিসৌরির সেন্ট লুইস ল্যাম্বার্ট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এ নারী সাংবাদিককে আটক করে আমেরিকার কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। বিনা কারণে ১০ দিন কারাভোগের পর স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

মুক্তির পর হাশেমি প্রেস টিভির কাছে তার আটক ও কারাগারের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন।

বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন থেকে সরাসরি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এর আগের বার আমেরিকা সফরের সময় তিনি মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হাতে নাজেহাল হয়েছিলেন। এবারের আটকের ঘটনা নাজেহাল ও নির্যাতনের নতুন পর্যায়ে নিয়ে গেছে।

তিনি আরো জানান, তাকে আটকের পর মার্কিন গোয়েন্দারা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার দেহ থেকে ডিএনএ নিয়েছে এবং তারপর ওয়াশিংটনের কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যায়। এরপর তাকে আরেকটি নির্যাতন কেন্দ্রে নেয়া হয় এবং সেখানে তার পোষাক খুলে তল্লাশি করা হয়।

হাশেমি এসময় বলেন, ‘আমি মুসলিম এবং ইসলামের চর্চা করি পাশাপাশি হিজাব পরি। তারপরও মার্কিন গোয়েন্দারা এ ধরনের অন্যায় করতে দ্বিধাবোধ করেনি।’

জানা গেছে, বুধবার সকালে ওয়াশিংটন ডিসির আদালতে মারজিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগে গঠনের শুনানি হয়। মার্জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই প্রমাণিত হয়নি। এ কারণে তাকে মুক্তি দেয়ার আদেশ দেন গ্রান্ড জুরি।

ইরানি বংশোদ্ভুত সাংবাদিক মার্জিয়া হাশেমি যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন। হাশেমি একজন ইরানিকে বিয়ে করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তিনি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নীতি এবং মুসলিম ও আফ্রিকান আমেরিকানদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আচরণের সমালোচনা করে প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছেন।

নবীনতর পূর্বতন