
জকিগঞ্জের আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে বসে তিনি বলেন, মাদক ও অবৈধ জুয়ার বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান হবে ‘শূন্য সহনশীলতা’।সোমবার ( ৮ ডিসেম্বর ) সন্ধ্যায় থানার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ সভায় তিনি বলেন পুলিশ ও সাংবাদিক একই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে সমাজকে নিরাপদ রাখতে চায়।
সাংবাদিকরা বলেন, সীমান্তঘেঁষা এলাকায় মাদকের বিস্তার বাড়ছে এবং অবৈধ জুয়ার আসরও সক্রিয়। আলোচিত ব্যবসায়ী নুমান উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান তাঁরা। স্কুল–কলেজগামী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতেও পুলিশের আরও মনোযোগ প্রয়োজন বলে মত দেন উপস্থিত সংবাদকর্মীরা।
সভায় জকিগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব লায়েক, সহ-সভাপতি আব্দুল মুকিত, কোষাধ্যক্ষ তারেক আহমদ, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস শহীদ শাকির, সহ-সাধারণ সম্পাদক আহমদ আল মনজুর, ক্রীড়া সম্পাদক আজাদুর রাহমান, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক আহমদ হোসাইন আইমান, কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল কালাম আজাদ, জামাল আহমদ,সাইফুর রহমান, তানিম আহমদ এবং উবেদুল্লাহ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া জকিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল খায়ের চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত পাল, সহ-সভাপতি রহমত আলী হেলালী, অফিস সম্পাদক কে. এম. মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মুন্না, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসউদ তরফদার, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ লস্কর এবং সদস্য ফয়সাল আহমদ সভায় অংশ নেন।
ওসি রাজ্জাক বলেন, “সাংবাদিকরা সমাজের বাস্তবতা তুলে ধরেন, আর পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে। দুই পক্ষ সহযোগিতায় এগোলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে।” তিনি জানান, নুমান উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের তদন্ত তিনি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করবেন এবং কোনো ধরনের প্রভাব বা দালালচক্রকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে তিনি কঠোর ব্যবস্থা নেবেন বলেও উল্লেখ করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন মিয়া এবং সেকেন্ড অফিসার অরূপ সাগর গুপ্ত।
উল্লেখ্য,২০০৫ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দিয়ে আব্দুর রাজ্জাক ময়মনসিংহে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানায় দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে পুলিশ পরিদর্শক পদে পদোন্নতি পান। পরে উত্তরা পশ্চিম ও বাড্ডা থানায় তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২২ সালে মাধবপুর থানার ওসি হিসেবে যোগ দিয়ে মাদক উদ্ধার, ওয়ারেন্ট তামিল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখান এবং একাধিকবার জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হন।
২০২৫ সালের ৭ ডিসেম্বর জনস্বার্থে লটারি ভিত্তিক বদলির মাধ্যমে তিনি জকিগঞ্জ থানার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর জন্ম জামালপুর সদর উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে।
মন্তব্য করুন